চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলায় মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের তৃতীয় পর্যায়ের ২য় ধাপে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মাঝে ঘরের চাবি ও জমির দলিল হস্তান্তর কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়েছে। গণভবন থেকে (২১ জুলাই) বৃহস্পতিবার সকালে চন্দনাইশ উপজেলার ভিডিও কনফারেন্স হলরুমে ভার্চুয়াল মিটিং এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কতৃক ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান উদ্বোধন করেন।
সারা দেশের ন্যায় অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সরাসরি সারা দেশে ২৬ হাজার ২২৯টি পরিবারকে ২শতক জমি ও ঘর প্রদান উদ্বোধন করেন। প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাছরীন আক্তারের সভাপতিত্বে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে উপজেলা প্রশাসন।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ভূমিহীন ও গৃহহীনদের ১৫ টি পরিবারের মাঝে ঘরের চাবি ও জমির দলিল হস্তান্তর করেন চট্টগ্রাম-১৪ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোঃ নজরুল ইসলাম।
এ উপলক্ষ্যে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোহাম্মদ আবদুল জব্বার চৌধুরী, পৌর মেয়র মুঃ মাহাবুবুল আলম খোকা, ভাইস চেয়ারম্যান মওলানা সোলাইমান ফারুকী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট কামেলা খানম রূপা, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) গালিব চৌধুরী, চন্দনাইশ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আনোয়ার হোসেন, উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ জুনাইদ আবছার চৌধুরী, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. রিয়াদ হোসেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা স্মৃতি রানী সরকার, পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম মো. আবু সুফিয়ান, চন্দনাইশ পৌরসভা আ’লীগের আহবায়ক এম কায়ছার উদ্দিন চৌধুরী, যুগ্ম আহবায়ক মোঃ ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী প্রমুখ।
এ সময় উপজেলা উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, সাংবাদিক, সুধী সমাজ, রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সহ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
এই প্রকল্পের মাধ্যমে যারা আগে অন্যের জমিতে ছাউনি করে কাটিয়েছেন। যাদের ছিলনা বাড়ি করার মতো জায়গা জমি। মুজিববর্ষে পুনর্বাসিত হচ্ছে সেই সকল উপকারভোগী।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের তৃতীয় পর্যায়ের দ্বিতীয় ধাপে সারাদেশের সাথে একযোগে আজ চন্দনাইশ উপজেলায় মোট ১৫টি বসতঘর হস্তান্তর করা হয়েছে । এ নিয়ে চন্দনাইশ উপজেলার ২টি পৌরসভা ও ৮ ইউনিয়নে মোট ১৩৬টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে জমিসহ বসতঘর হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।
ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য সেমি পাঁকা ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। ২ শতাংশ জমির উপর নির্মিত বাড়িটিতে থাকছে প্রতিটি ঘরে দুটি শয়নকক্ষ, একটি করে বারান্দা, রান্নাঘর ও বাথরুমসহ নানা সুযোগ-সুবিধা রাখা হয়েছে।
প্রদান কার্যক্রম তৃতীয় পর্যায়ে ২য় ধাপে এর শুভ উদ্বোধন করার পর সংক্ষিপ্ত আলোচনায় এমপি নজরুল বলেন, শেখ হাসিনার বাংলায় কেহ ভূমিহীন ও গৃহহীন থাকবে না। মুজিববর্ষে পর্যায়ক্রমে সকল ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে জমি ও ঘর প্রদান করা হবে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।